অরণ্য, ঝাড়গ্রাম-১৪ই জানুয়ারি:
মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্য দেশে জুড়ে চলছে না না পুজো পার্বণ, তেমনই এক উৎসব টুসু। রাত পোহালেই জঙ্গলমহলে শুরু হচ্ছে মকর পরব। মকর কে কেন্দ্র করে মেলা। বাড়ি বাড়ি তৈরী হচ্ছে মাংস পিঠা, গুড়পিঠা। সমবেত হয়ে চলছে টুসু গান। প্রাচীন জনজাতিগুলির সেরা উৎসব হওয়ায় একে টুসু পরবও বলা হয়। বাড়িতে নতুন ধান ওঠার পর তিনদিন ধরে চলে এই মকর পরব। ঝাড়গ্রাম,পুরুলিয়া বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মূল পরব মকর পরব। কার্যত উৎসবের মেজাজে থাকে ছোটনাগপুর অঞ্চল সংলগ্ন এই ৪ জেলার মানুষ। মাহাতো, সাঁওতাল, ভূমিজ, মুন্ডা, লোধাশবর জনগোষ্ঠীর মানুষ এই উৎসবে সামিল হন। রবিবার টুসু জাগরণের রাত থেকে ঘরে ঘরে বিভিন্ন রকমের পিঠে পুলি তৈরির ধুম। মকর কে কেন্দ্র করে ঝাড়গ্রামে বাজারে কেনাকাটির ভিড়। চৌডল এবং টুসু প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে। সাথে পিঠে তৈরীর উপকরণ।
এই প্রতিমা নিয়েই তিনদিন ধরে চলে টুসু গান। টুসুকে মাথায় নিয়ে গান এবং করতাল ও মাদলের বাজনার তালে তালে বাসিন্দারা নাচও করেন। প্রতিটি বাড়ির ছেলেমেয়েরা যেহেতু মকর সংক্রান্তির দিন সকাল বেলা স্নান করে নতুন জামা কাপড় পরে, তাই পোশাকের দোকানগুলিতে ভিড় জমেছে। পরবের এই তিনদিন বিভিন্ন এলাকায় মোরগ লড়াই এবং মকর মেলা হয়ে থাকে। সংক্রান্তির দিন সকালে মকর ডুব দিয়ে পিঠে পুলি খাওয়ার পর নতুন জামা কাপড় পরে সেই সব মেলায় যান গ্রাম বাংলার মানুষ। মেলায় টুসু প্রতিমার প্রদর্শনীও হয়। উৎসবের শেষ দিন টুসু নাচ গানে মেতে ওঠে এলাকার মানুষ।