এন এন ঠাকুর-মুম্বাই ৩১শে মে:
আমরা মানুষরা পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণের পরে বিভিন্ন সময়ে ঈশ্বর, আল্লা, যীশুখ্রীষ্টের স্মরণ নিলেও বাস্তবের মাটিতে তাঁদের দেখা পাই না । যাঁদের দেখা পাই তথা মনুষ্যরূপী ঈশ্বর হয়ে যাঁরা আমাদের সব সময় রক্ষা করে চলেছেন তাঁরা হলেন চিকিৎসক । অন্যদিকে একজন চিকিৎসক মানুষের কাছে দেবতুল্য হলেও তাঁর চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে জুড়ে থাকেন নার্স, ওয়ার্ড বয়, অ্যাম্বুলেন্স চালক, সাফাই কর্মী ও সমাজ কর্মীরা । মুম্বাই শহরে চিকিৎসা ব্যবস্থার এইসব মানুষদের সম্মানিত করলো “হেলথকেয়ার আইকনিক ফ্যাশন অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ডস" (Healthcare Iconic Fashion And Awards) “হাইফা” (HIFAA)।
গত রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, মুম্বাইয়ের তারকা খচিত হোটেল সাহারা স্টারে অনুষ্ঠিত “হাইফা”র প্রথম বছরের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রাক্তন রাষ্ট্র মন্ত্রী অজয়কুমার মিশ্র । তিনি ছাড়াও ছিলেন আয়োজক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তথা অন্যতম কর্ণধার ডাঃ বিশ্বজিৎ মণ্ডল, চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু সেন, উদ্যোগপতি পিন্টু মণ্ডল, আইনজীবী নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য্য, অভিনেতা রাহুল রায়, পরিচালক মহেশ মঞ্জেকরের সহধর্মিনী মেধা মঞ্জেকর, ফিটনেস প্রশিক্ষক মিকি মেহতা প্রমুখ ।
প্রথম বছরের এই অনুষ্ঠানে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ১১৫ জন চিকিৎসক, ২৫ জন নার্স, ৫ জন ওয়ার্ড বয়, ৪ জন অ্যাম্বুলেন্স চালক, ১২ জন সাফাই কর্মী ও সমাজ কর্মী এবং ২টি সামাজিক সংগঠকদের তাঁদের অসামান্য কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তুলে দেওয়া হয় মেমেন্টো, শংসাপত্র ও স্যুভেনিয়র । সেখানেই দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হয় করোনা মহামারীর সবচেয়ে কঠিন সময়ে, সকল পরিস্থিতিতে তাঁদের চিকিৎসা সেবা এবং সাহস, সেবার প্রতি নিষ্ঠা এবং কর্তব্য পালনের বিভিন্ন ঘটনাবলী । অনুষ্ঠান মঞ্চে পুরস্কার প্রাপকরাও বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের বিস্ময়কর ঘটনার কথা তুলে ধরেন । তবে উপস্থিত দর্শকদের আকর্ষিত করেন ৯৭ বছর বয়সের চিকিৎসক ডাঃ কুমুদ প্যাটেল ।
অনুষ্ঠানের সূচনা লগ্নে আয়োজক ডাঃ বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, “ডাক্তাররা অল্প সময়ের জন্য রোগীদের দেখতে যান, অন্যদিকে অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা রোগীদের সাথে বেশি সময় কাটান, তাই ডাক্তারদের পাশাপাশি তাঁদেরও পুরস্কৃত করার উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং এই উদ্যোগের মাধ্যমে 'হাইফা' কেবল পুরষ্কার প্রদানই নয়, বরং সমাজকে অনুপ্রাণিত করা এবং মনে করিয়ে দেওয়া যে চিকিৎসা ব্যবস্থায় প্রকৃত নায়ক হলেন ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ড বয়, অ্যাম্বুলেন্স চালক, সাফাই কর্মী প্রত্যেকেই যাঁরা রোগীদের সেবা করেন ।" অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে ছিল ফ্যাশন শো এবং সঙ্গীতানুষ্ঠান । সঙ্গীত পরিবেশন করেন কেকা ঘোষাল । অনুষ্ঠান সংযোজনায় ছিলেন একতা জৈন ।