অরণ্য, ঝাড়গ্রাম-১৬ই মে:
এখন আর কলকাতা মুখি বা বড় বড় নার্সিং হোমের মুখাপেক্ষী থাকার দিন শেষ। এখন প্রত্যন্ত গ্রামে হাসপাতাল গুলোতেই জটিল সব অপারেশন হচ্ছে বিনামূল্যে। ঝাড়গ্রাম জেলার উড়িষ্যা সীমান্তে প্রত্যন্ত নয়াগ্রামে ব্যয়বহুল হিপ জয়েন্ট সর্ম্পূন্য বিনামূল্যে প্রতিস্থাপন করে নজির সৃষ্টি করল ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। এক সময় মাওবাদী অধ্যুষিত প্রত্যন্ত ব্লক নয়াগ্রাম থাকতো খবরের শিরোনামে। দিনের বেলাতেও নয়াগ্রামে যেতে হত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিলো ভগবান ভরসার উপর।আর বর্তমানে সেই নয়াগ্রাম সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল এলাকায় দৃষ্টান্ত তৈরী করছে। উড়িষ্যা এবং পার্শ্ববর্তী জেলা পশ্চিমমেদিনীপুরের একটা বড় অংশ এখন নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাহাসপাতালে উপর নির্ভরশীল, জানালেন হাসপাতালের সুপার ডাঃ দেবাশীষ মাহাত।হাসপাতালে জটিল এই অস্ত্র প্রচার করেন অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ সান্তনু পট্টোনায়েক ও এনাস্থিতিয়া ডাঃ ইমন ভক্তা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন থানার কাঁটাপাল গ্রামের এক রোগীর বাম পাশের হিপ জয়েন্ট সফল ভাবে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন।
নয়াগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এধরনের অস্ত্রপ্রচার এটি প্রথম। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা পেয়ে খুশি রোগীর পরিবার। জানা গিয়েছে সুবল দাস নামে দাঁতনের কাঁটাপাল এলাকার এক ব্যক্তি হিপ জয়েন্টের ব্যথা নিয়ে কয়েকদিন আগে নয়াগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে আসেন। এর আগে রোগী কটক থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েছিলেন।তবে হিপ জয়েন্টের হাড়ে ক্ষয় ধরায় সমস্ত জায়গার চিকিৎসকরা অপারেশনের পরামর্শ দেন। খরচ প্রায় চার লাখ টাকা। এত টাকা জোগাড় করতে পারার ক্ষমতা ঐ গরিব পরিবারের ছিলো না। রোগী শেষ পর্যন্ত নয়াগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের দ্বারস্থ হন। সেই মতো চিকিৎসকরা এমআরআই সহ একাধিক পরীক্ষা করে হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপনের সরঞ্জাম নিশ্চিত করে অপরেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। গত বুধবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা অপারেশনের পর রোগীর হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন হয়। হাসপাতাল সুপারের কথায় রোগী বর্তমানে সুস্থ কথা বলছেন।রোগীর পরিবার ও এমন উন্নতমানের চিকিৎসা প্রত্যন্ত এই সীমান্তবর্তী গ্রামে পাবেন আশা করেন নি। তাই রোগী ও তার পরিবার খুব খুশি।
খুবই ভালো একটি খবর, তাহলে চিকিৎসা ব্যাবস্থা আস্তে আস্তে ভালো হচ্ছে!!!!!
ReplyDelete