অরণ্য, ঝাড়গ্রাম-১৩ই এপ্রিল:
১৮৬৪ সে সময় মহামারিতে উজার হয়ে যেতো গ্রামের পর গ্রাম। সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় ঠাকুর দেবতার কাছে জীবনহানী রক্ষার আবেদন জানাতো গ্রামবাসীরা। মহামারি ও গবাদিপশুর রোগ নিবারণের উদ্দেশ্যে সেই প্রাচীন কাল থেকেই বিনপুর থানার কুই গ্রামে শুরু হয় ওলাই চন্ডী মায়ের পূজা। চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির সাথে মহমারি রোধ হলেও মানুষের বিশ্বাস মায়ের আশীর্বাদ মানুষ সুস্থ আছে।
তাই পূজার জাঁকজমক বেড়েছে কয়েকগুন। শুধু ঝাড়গ্রাম নয় এখন পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খন্ড,উড়িষ্যা,বিহার থেকেও ভক্তরা আসেন এখানে পুজো দিতে। তবে এবারের পুজো অন্যবারের থেকে কিছুটা ভিন্ন। পেহেলগাঁও হামলার পর রাগে ফুঁসছে জঙ্গি এবং মহামারী দুটোই এক। আর এই জঙ্গি নামক মহামারি কে রুখতে জল,স্থল,আকাশ পথে বুক চিতিয়ে লড়াই করছে ভারতের সেনাবাহিনী। তাই তাদের সুস্থথাকা একান্তই প্রয়োজন। তাদের পরিবার ভালো থাকলে তারা এই ভয়ঙ্কর মহামারীর বিরুদ্ধে নিশ্চিন্তে লড়তে পারবে। তাই এবার পুজার প্রায় প্রতিটি থালায় নিজের পরিবারের সাথে জল,স্থল, আকাশ বাহিনীর প্রতিটা সদস্যর নামে পুজো দেওয়া হচ্ছে। এই পুজোর নিয়ম মানতে স্নান করে সেখান থেকে মাথেকেতে দন্ডি কেটে অর্থাৎ সাষ্টাঙ্গে প্রনাম করতে করতে পূজার স্থল পর্যন্ত আসতে হয়। যা যথেষ্টই কষ্ট সাধ্য। টানা আটদিন চলে এই পুজো সাথে মেলা ও নানা অনুষ্ঠান।