অরণ্য, ঝাড়গ্রাম-৫ সেপ্টেম্বর :
আরজি করের ঘটনার মাঝেই ঝাড়গ্রাম আদালতে নজির বিহীন সাজা হল, ধর্ষনে অভুিযুক্তর। নাবালিকা কে ধর্ষনের ঘটনায় নজির বিহীন ২২ বছরের সশ্রম করাদন্ড,২৫ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে ৬মাস অতিরিক্ত জেল হেফাজত সাজা ঘোষনা। আরজিকরের ডাক্তার খুন ধর্ষনের ঘটনায় চারদিকে আন্দোলনের মাঝেই অপরাধীর চরম সাজার জন্য গতকাল অপরাজিতা আইন পাশ হয়েছে বিধানসভায়। আর তারই একদিনের মাথায় নাবালিকাকে ধর্ষন কান্ডে ঝাড়গ্রামে চরম শাস্তি ঘোষনা করলো ঝাড়গ্রাম এডিজে ২ এর মহামান্য বিচারক তন্ময় চট্টোপাধ্যায়।
২১.০৯.২০২৩ সালে ঝাড়গ্রামের মহিলা থানায় ঝাড়গ্রাম থানার ইন্দমাড়া গ্রামের বাসীন্দা নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ করেন দুধকুন্ডি এলাকার চৌকিচটি গ্রামের বাসীন্দা বাসুদেব পাত্র তার নাবালিকা মেয়ে কে ধর্ম শেখাবার নাম করে একাধিক বার ধর্ষন করে। পরে সন্তান সম্ভবা হয়ে যাওয়ায় নাবালিকাকে ভয় দেখাতে থাকে বলে অভিযোগ। এর পর ঐ নাবালিকা একটি পুত্রসন্তানের জন্মদিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ঐ ব্যাক্তি কে বললে সে অস্বীকার করে এবং পাল্টা হুমকি দিতে থাকে। থানায় অভিযোগ দায়ের হয় ২৮/০৯/২৩ তারিখ।এর পরের দিনই গ্রেপ্তার করেন তদদন্তকারি অফিসার প্রতিভা হালদার। দ্রুত কেসের নিষ্পত্তি চার্জসিট দেন তিনি ২৪/১১/২৩ চার্জ ফ্রেম করা হয় ০৯/০১/২৪। দোষী ব্যাক্তির ডিএনএ টেষ্ট করে দেখা যায় সে ই শিশুটির বাবা। এর পর মহামান্য বিচারক গতকাল দোষি সাব্যস্ত করে আজ সাজা ঘোষনা করেন। ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গুলাম সারওয়ার এই ঘটনা সাংবাদিক দের সামনে তুলে ধরেন।