অরণ্য, ঝাড়গ্রাম-৩রা আগষ্ট:
উড়াল পুলের দাবিতে পথসভা ঝাড়গ্রাম শহরের কদমকানন এলাকাবাসীর। উড়াল পুল বা আন্ডারপাস না থাকায় ৩৫বছরের গৃহবধু দোলন ঘোষ মন্ডল এর মৃত্যু হল অকালে। ঝাড়গ্রাম শহরের বুক চিরে এই রেললাইন চলে গিয়েছে। ঝাড়গ্রাম স্টেশনের একদিকে খড়্গপুর অপর দিকে টাটানগর ও রৌরকেল্লা জংশন। রেলপথে প্রতিদিন প্রচুর যাত্রীবাহী ট্রেন ও মালগাড়ি চলাচল করে। কদমকানন লেভেল ক্রসিং বন্ধ হলেই দীর্ঘক্ষণ যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।
শহর ও শহর লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা লেভেল ক্রসিংয়ে আটকে পড়ে নিত্যদিন যানজটের সমস্যায় পড়েন। কখনো ৩০ থেকে ৪০ মিনিট বন্ধ থাকে এই রেল গেট। ফলে নাজেহাল হতে হয় সাধারন মানুষ কে।লেভেল ক্রসিংয়ে আন্ডারপাশ বা ওভারব্রিজের দাবি উঠেছে। উল্লেখ্য গত ৩০শে জুলাই ভোররাতে আচমকা শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় এক গৃহ বধূকে গাড়িতে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছিল। শহরের কদমকানন এলাকায় লেভেল ক্রসিংয়ে গাড়িটি আটকে যায়। পরিবারের সদস্যদের কাতর আবেদন সত্ত্বেও গেট খোলেনি। পথেই গাড়িতে ছটফট করতে করতে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। মৃতার নাম দোলন ঘোষ মণ্ডল(৩৭)। অমানবিক এই ঘটনায় রেলের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠছে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় প্রায় এক ঘন্টা কেনো গেট বন্ধ রাখা হয় তা নিয়ে সদুত্তর দিতে পারেনি রেল।
