অরণ্য, ঝাড়গ্রাম- ২০ আগষ্ট :
আবারো হাতির হামলায় মৃত্যু এক ব্যক্তির। গত ১৫ আগষ্ট থেকে ৬ দিনে তিন জনের মৃত্যু হাতির হামলায়।অনেকেই মনে করছেন যে এটা হাতির প্রতিশোধ। ১৫ আগষ্ট হাতির পিঠে জ্বলন্ত রড ঢুকিয়ে দিয়ে গুরুত আহত করে একটি হাতিকে হুলা পাটির সদস্যরা, বলে অভিযোগ। পরের দিন অর্থাৎ১৬ ই আগষ্ট মারা যায় গর্ভবতী আহত হাতিটি।এর পরেই হাতির পাল বেশী আক্রমনাত্মক বলে মনে করা হচ্ছে।গত ছয় দিনে তিন জন নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়।আজ ঝাড়গ্রামের আঁধারিশোল গ্রামের খগেন পাতর সকাল বেলায় চাষের কাজে যাচ্ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। হঠাৎ করে চাষের জমিতে খগেন পাতর ঢোকার মুখে হাতির মুখে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাতিটি খগেন পাতরের বুকে পা দিয়ে মেরে ফেলে। ঘটনা স্থল থেকে খগেনের স্ত্রী ছুটে প্রানে বাঁচে।
এরপরেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এলাকাবাসীরা ঘটনা স্থলে জড়ো হয়। মৃত দেহ উদ্ধার করতে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ ও বন দপ্তর উপস্থিত হলে এলাকায় সাধারণ মানুষ তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাদের দাবি পুকুরিয়া বিটের যে সমস্ত গ্রাম রয়েছে সেখানে প্রতিনিয়ত হাতির সমস্যায় সাধারণ মানুষের বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তারপরও এখানো কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করছে না বনদপ্তর। ঝাড়গ্রামের মন্ত্রী বিরবাহা হাসদা কে বারংবার জানালেও কনো সদ্ উত্তর পাওয়া যায় না। এলাকায় কোনো সমস্যায় তাকে দেখতে পাওয়া যায় না। যতক্ষন বনমন্ত্রী ঘটনা স্থলে আসছেন, এবং বন দপ্তর এই হাতিটিকে এখান থেকে সরাচ্ছে এবং কবে এই এলাকা হাতি মুক্ত হবে তার সমাধানের কথা যতক্ষণ না বলছে বন দপ্তর ততক্ষন মৃত দেহ উদ্ধার করতে দেবে না এলাকাবাসী। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।