একের পর এক ঝুঁকি নিয়েই চলছে পঠন- পাঠন

 পাঠদান।

অরণ্য, ঝাড়গ্রাম - ২৮শে জুলাই :

কংক্রিটের বড় বড় চাঙড়  ছাদ থেকে খসে পড়ছে , বেরিয়ে পড়েছে জং ধরা লোহার বিশাল খাঁচা। লিন্টন বরাবর লম্বা ফাটল গোটা দেওয়াল জুড়ে। প্লাস্টার খসে সেখানেও তৈরি হয়েছে বেশ কিছু গর্ত। বর্ষার জল, ছোপ-ছোপ দাগ ফেলেছে, ছাদ আর দেওয়ালে। ছবিটা ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের কুকড়াকুপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। সাঁকরাইলের রগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুকড়াকুপি এলাকায়, শতবর্ষ পার করা অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকার পোষিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমন বেহাল দশায় রীতিমতো আতঙ্কিত অভিভাবক থেকে শুরু করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক। শতাব্দী প্রাচীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল দশা ঘোচাতে বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে লেখা হয়েছে চিঠি-চাপাটি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থাই হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে খুদে পড়ুয়াদের পঠন-পাঠন। সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ কল্পনাদে বিষয়টি জেনে দ্রুত পদক্ষেপের কিন্তু আশ্বাস দিয়েছেন।

সর্বশিক্ষা অভিযান। জাতীয় শিক্ষানীতিতে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষা। যা মৌলিক অধিকার হিসেবে কিন্তু স্বীকৃত। সরকারি বিজ্ঞাপনে ফলাও করে প্রচার হয় ফি-বছর। অথচ সরকারি শিক্ষাকেন্দ্র গুলির পরিকাঠামো উন্নত করার দিকে সেভাবে নজর দেওয়াই হয় না। স্কুলছুটদের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়ে চলা যার অন্যতম এক কারণ।

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.