অরণ্য, ঝাড়গ্রাম-১৪ই এপ্রিল:
ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইলের ব্লকের কয়েকশ কুম্ভকার পরিবার। নিজের বাপ ঠাকুদার শিল্প ছেড়ে পরিযায়ী শ্রমিকে পরিনত হয়েছে তারা। কোনো নেতা, প্রশাসন কেউই তাদের নিয়ে খুব একটা মাথা নামায় না। ভোট আসে ভোট যায়। ওরা থাকে সেই তিমিরেই। গাল ভরা প্রতিশ্রুতি, দেওয়াল লেখন কোনো কিছুই আর কাজে লাগেনা। বর্তমানে কুম্ভকরদের মাথায় হাত। বিক্রি নেই কষ্ট করে তৈরি করা মাটির হাড়ি,কলসি,টব থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিসপত্র। ফ্যান্সি জিনিস তৈরী করলেও মার্কেটিং এর অভাবে তা বিক্রি হয়না। ফলে টান পড়েছে রুজি রোজগারে।ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের নয়াঁগা গ্রাম, এখানেই বাস করেন ১০০ থেকে ১৫০টি কুম্ভকার পরিবার, মাটির তৈরী জিনিসপত্র বিক্রি করেই চলে জীবনযাপন।বর্তমানে রুজি রোজগারে টান পড়েছে ওই কুম্ভকার পরিবার গুলির। বাজারে বেড়ে চলেছে প্লাস্টিক এর জিনিসপত্রের বিক্রি ও তার ব্যবহার ।
তাই মাটির তৈরী জিনিসপত্রের ব্যবহার কমেছে। ইতিমধ্যেই কমেছে বিক্রির হার। বাড়ছে সংসারে টানাপোড়ান। মৃৎশিল্পিরা উন্মুক্ত বাজার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে হারিয়ে যেতে বসেছে। অত্যাধুনিক প্লাস্টিক, অ্যালুমোনিয়াম ও মেলামাইনের তৈরী জিনিসপত্রের দাপটে এ শিল্প প্রায় বিলুপ্ত। ফলে জেলার প্রতিভাবান মৃৎ শিল্পীরা অর্থাভাবে জীবন কাটাচ্ছে। কেউ কেউ ইতোমধ্যে ভিন্ন পেশায় চলে গেছে। নয়াঁগা গ্রামে বাস করা কুম্ভকার পরিবার গুলি চায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক প্রশাসন। তবে প্রশাসন বিষয় টা দেখবো বলেই দায় সারে।