নিজেস্বসাংবাদদাতা, নয়াগ্ৰাম- ১ লা ডিসেম্বর
বিশাল টিউমার মুখে। না পারেন খেতে না পারেন কথা বলতে। এর চিকিৎসা কলকাতার বড় হাসপতালে হলেও সেখানে থেকে করা সম্ভব নয় জটিল অস্ত্রপ্রচার। জেলা বা গ্রামীণ হাসপতালেও হয়নি আগে। কিন্তু সেই অসাধ্য কাজ টাই করে দেখালো নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। নয়াগ্রাম হাসপাতালের বিএমওএইচ ডাঃ দেবাশীষ মাহাতর নজের আসার পরই তিনি উদ্যোগী হন ঐ ব্যাক্তিকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে। হাসপাতালের ইএনটি সার্জেন এবং ডেন্টাল সার্জন কে নিয়ে একটা টিম গঠন করেন এবং তার পর দেড়ঘন্টার জটিল অস্ত্র প্রচার।
ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্ৰামের ব্লকের বাছুরখোয়াড় গ্রামের এক ব্যক্তির মুখের সামনে বিপজ্জনকভাবে ঝুলতে থাকা টিউমারটির সফলভাবে অস্ত্রপ্রচার করা হল নয়াগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। হাসপাতালের ইএনটি সার্জেন ডক্টর কাঞ্চন পাঠক এবং ডেন্টাল ডক্টর সার্জন শান্তনু বাদসা প্রায় দেড় ঘন্টার জটিল অপারেশন করে টিউমার বের করেন।জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের বাছুরখোয়াড় গ্রামের সুধীর মান্ডি বলে এক ব্যক্তির মুখের সামনে একটি বড় ধরনের টিউমার হয়েছিল দীর্ঘদিন আগে। প্রায় সাত বছর আগের সেই টিউমারের কোন চিকিৎসা না করিয়ে অসহায় ভাবে জীবনযাপন করছিলেন।এমন অবস্থায় ওই বাছুরখোয়ার গ্রামের ওল্ডেজ ক্যাম্পে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে নয়াগ্রাম হাসপাতালের বি এম ও এইচ ডক্টর দেবাশিস মাহাতোর।তিনি ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালের আসার পরামর্শ দেন । এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুধীর মান্ডিকে চিকিৎসার জন্য নয়াগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসে।তখন হাসপাতাল সুপার ডক্টর দেবাশিস মাহাতোর পরামর্শ মতো হাসপাতালের ইএনটি সার্জেন ডক্টর কাঞ্চন পাঠক এবং ডেন্টাল সার্জেন ডক্টর শান্তনু বাদসা অপরেশন করার দায়িত্ব নেন। সেই মতো নয়াগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে হয় অপারেশন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন সুধীর মান্ডি।