অরণ্য,ঝাড়গ্রাম- ১২ই সেপ্টেম্বর:
মিশন গ্রীন হান্ট এর বদলে মিশন "চাকরি"। বন্দুক ছেড়ে এখন বই ভরসা যোগাচ্ছে জঙ্গল মহলের ছেলেমেয়ে দের। সময়টা ২০০৮ ঝাড়গ্রাম উত্তাল মাওবাদী আন্দোলনে। ঝাড়গ্রাম শহরে প্রথম সিআরপিএফ এর ১৮৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ান ডেপ্লয়েড হলো। তখন শুধু অপারেশন, এনকাউন্টার, আর এরিয়া ডমিনেশন। তখন ঝাড়গ্রামের ভূমিপুত্র এক বিশিষ্ট মানুষ এর পরামর্শ ছিলো " এই গ্রামের সহজ সরল গরিব মানুষ গুলোকে হত্যা করবেন না। ওদের হাতে বই দিন। চাকরি দিন। তাহলে আর বন্দুক লাগবে না। তাঁর কথায় কাজ হয়।
তার পর পেরিয়ে গেছে প্রায় ১৫ বছর এখন আর বন্দুকের দরকার পরেনা। তার বদলে বই-খাতা হাতে এলাকার ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ বদলে ব্যস্ত সিআরপিএফ। সিআর পিএফ এর ডিআইজি অপারেশন পশ্চিম মেদিনীপুর রেঞ্জ ডি.এস. গ্রেওয়াল জানালেন এখন মাওবাদী নেই। তাই অপারেশন এর বদলে এখন "মিশন কামিয়াব"। অর্থাৎ নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার না হোক, ট্রেনিং, দিয়ে একটা সরকারি চাকরির সুযোগ করে দেওয়া।প্রত্যন্ত এলাকার ছেলেমেয়েরা সেই সুযোগের সঠিক ব্যবহার করছে। ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজে এক অনুষ্ঠানে এ রকম সফল ৩৩জন কে সংবর্ধনা দিয়ে উৎসাহিত করা হয়। সাথে গাছ লাগিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিবেশ কে সুরক্ষিত রাখার বার্তাও তুলে ধরা হয়।
১৮৪ নম্বর ব্যাটেলিন এর কমান্ডেন্ট বি.আর.মিনা বর্তমানে ঝাড়গ্রাম জেলার প্রায় সবকটা সীমান্ত এলাকার ক্যাম্প এর চার্জ আছেন। তার লক্ষ বন্দুক এর বদলে কলমই পারবে একটা এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাতে। আর তাই বন্দুকে দূরে সরিয়ে জেলার প্রায় সমস্ত এলাকার বাচ্চাদের অভিবাবকদের কাছে তার বার্তা- পড়াশুনার একমাত্র পথ সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার।