অরণ্য,ঝাড়গ্রাম- ২৪শে সেপ্টেম্বর:
বন্দে ভারত থেকে বঞ্চিত ঝাড়গ্রাম। অথচ ঢাক ঢোল পিটিয়ে সূচনা অনুষ্ঠান বন্দে ভারতের।এদিন স্টেশনে অনুষ্ঠানের আয়োজন বন্দেভারত কে ঘিরে। স্টপেজ নেই অথচ স্টেশনে প্রতীকি ট্রেন দাঁড় করিয়ে আদতে ঝাড়গ্রামবাসীকে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ হতাশ ঝাড়গ্রামবাসীদের
রাচি হাওড়া বন্দেভারতের আজ আনুষ্ঠানিক সূচনা। দক্ষিণ পূর্ব রেল ডিভিশনের হাওড়া টাটা শাখায় এটাই প্রথম বন্দে ভারত। ফলে এই ট্রেন কে ঘিরে মানুষের মধ্যে উদ্দিপনা ছিলো চোখে পড়ার মতো। পরীক্ষা মূলক চালানোর সময় ঝাড়গ্রাম স্টেশনে এক মিনিট স্টপেজ ও দেয়। ফলে ঝাড়গ্রামবাসী আশায় বুক বাঁধে হাইপ্রফাইল এই ট্রেনের পরিষেবা পাওয়ার। এর পরেই অনুষ্ঠান সূচীতে দেখা যায় ২৪তারিখ ঝাড়গ্রামে রেলের তরফে সন্ধ্যাবেলা একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাঁচি থেকে যাত্রা শুরু করে ঝাড়গ্রামে দাঁড়াবে ট্রেন টি। সেই ট্রেনে যাত্রা করতে চেয়ে স্টেশনে টিকিট কাটতে গিয়ে দেখা যায় ঝাড়গ্রামে স্টেপেজ নেই। রেলের টাইম টেবিলেও ঝাড়গ্রামে কোনো স্টপেজ নেই। শুধু প্রচার অনুষ্ঠানের জন্য আজকের দিনেই দাঁড়াবে ট্রেন টি।
শুধুমাত্র অনুষ্ঠান করে প্রচার করার জন্য এই স্টপেজ মানতে পারছেনা ঝাড়গ্রামবাসী। তাদের বক্তব্য তাদের সাথে ছলানা করলো রেল। এমনিতেই করোনা পরবর্তী সময়ে একাধিক বাতিল ট্রেন আজ ও চালু হয়নি। লোকালকে প্যাসেঞ্জার করে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তার উপর ফের এই বঞ্চনা। অথচ ঝাড়গ্রাম পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করার পরও রেলপরিষেবা সে ভাবে সুবিধাজনক হয়নি। বন্দেভারত কে ঘিরে সেই জায়গায় কিছুটা আশার আালো দেখেছিলো ঝাড়গ্রাম বাসী। কিন্তু জুটলো শুধু বঞ্চনা। ঝাড়গ্রামের সাংসদ থেকে শুরু করে রেল কারো কাছেই এই অদ্ভুত সূচনা অনুষ্ঠানে কোনো উত্তর নেই।