অরণ্য, ঝাড়গ্রাম- ৪ জুলাই :
অবশেষে বিচার পেলো দীর্ঘ ২৭ বছর পর। বাবার খুনিকে সাজা দিলো ঝাড়গ্রামের মহামান্য বিচারপতি । যাবত সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হল অভিযুক্তকে। কিছুটা হলেও ২৭ বছর ধরে বুকের ভেতর চেপে রাখা কষ্ট লাঘব হল আজ। ১৯৯৭ সালের ১৫ ই জুলাই ঢ্যাংবহরা গ্রামের বাসীন্দা জাহ্নবী বেরা নিজের চাষের জমি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ সেই সময়, সুন্দর সরেন, ছবিলালদে সহ একাধিক ঝাড়খন্ড পার্টির সদস্য, সিপিআইএম এর জাম্বনী লোকাল
কমিটির সদস্য জাহ্নবী বেরা কে সামনে থেকে গুলি করে। গুলি ডানদিকের পেটে লাগালেও দৌড়াতে থাকেন তিনি। গুলির আওয়াজ পেয়ে এলাকার লোক জড়ো হয়ে গেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। ২২শে জুলাই কলকাতার এসএসকেএম এ মারা যান সিপিআইএম এর নেতা। মৃত্যু কালিন জবানবন্দি ও মৃতের স্ত্রী এর অভিযোগের ভিত্তিতে কেস শুরু হয়। গ্রেফতার হয় অভিযুক্তরা। কিছুদিনের মধ্যে জামিন ও পেয়ে যায় অভিযুক্তরা। বন্ধ করে দেয় চাষাবাদ। সাথে হুমকি, কোনো রকমে দুই নাবালক শিশুকে নিয়ে লালগড়ে বাপের বাড়িতে পালিয়ে বাঁচেন জাহ্নবী বাবুর স্ত্রী। সেখানেই ছেলের বড় হয়ে ওঠা। বড় ছেলে আজ প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক। তার বক্তব্য চরম অবস্থার মধ্যে বড় হলেও বাবার দোষীরা যাতে শাস্তি পায় তার জন্য কোর্টে আসা বন্ধ করিনি। প্রথমে মায়ের হাত ধরে আসতাম এখন একাই আসি। কোর্টের উপর আস্থা ছিলো তাই দীর্ঘ ২৭ বছর পর হলেও সাজা পেলো অভিযুক্ত। বাবার আত্মার কিছুটা শান্তি হবে। এই ঘটনায় মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও বিচার চলা কালিন দুজনের মৃত্যু হয়। বাকিরা প্রমানের অভাবে বেকসুর খালাস পান। তবে মূল অভিযুক্ত সুন্দর সরেনকে দোষী সাবস্ত করে মহামান্য বিচারক আজ সাজা ঘোষনা করে। যাবতজীবন সশ্রম কারাবাস হয় অভিযুক্তর। দীর্ঘ আইনি লড়াই এর পর আজ কিছুটা শান্তি বেরা পরিবারে।