অরণ্য, ঝাড়গ্রাম-২৭শে এপ্রিল:
রাজ্য জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ, ঝাড়গ্রামের তাপমাত্রা ৪৪ডিগ্রি।প্রচন্ড গরমে নাজেহাল হাল হস্তিকুলও। জলের জন্য ও গরমে কাহিল হাতির বিভিন্ন ছবি উঠে আসছে গ্রামবাসীদের মোবাইলে। ঝাড়গ্রাম জেলায় এই মূহুর্তে প্রায় ৫০ টির কাছাকাছি হাতি রয়েছে।প্রচন্ড গরমে এরাও কাহিল।দিনের বেলা গাছের ছায়া খুঁজে সেখানেই থাকছে। কোনো হাতি আবার জলের খোঁজে চলে আসছে লোকালয়ে। বাড়ির কলে শুঁড় দিয়ে গা ভিজিয়ে নিচ্ছে। কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে একে অপরকে কাদা মাখিয়ে গা-ঠান্ডা করতে। বয়ে যাওয়া গ্রামের রাস্তার জলকাদাও গায়ে ছড়িয়ে ঠান্ডা হওয়ার ছবি ভাইরাল।
গরম সহ্য করতে না পেরে কখনো দিনের বেলা অথবা সন্ধ্যার মুখে জঙ্গল লাগোয়া বা গ্রামের পুকুরে ডুবে থাকতে তো হামেশাই চোখে পড়ছে। সাত সকালে জলের খোঁজে শালবনি গ্রামের পুকুরে সটান হানা। দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে জল খেয়ে তারপর আস্তে আস্তে নিজের গন্তব্যে রওনা দেয়। ঝাড়গ্রামে রামলাল নামে পরিচিতব দাঁতাল কে স্নান করার ছবি তো সকলের হাতে হাতে ঘুরছে। বহাল তবিয়েতে রামলালও দাঁড়িয়ে স্নান করছে। কোনো হেল দোল নেই। গ্রামবাসী দের বক্তব্য প্রায়ই হাতির এরকম দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। গরমে নাজেহাল ও রাও। তাই যতটা সম্ভব ওদের নিজেদের মত থাকতে বাঁধা দিচ্ছে না গ্রামবাসীরাও। জুলজিক্যাল পার্কের রেঞ্জার জানালেন গরমে হাতি সহ জঙ্গলের পশু নিজেদের মত শরীর ঠান্ডা করে নেয়। তাই পুকুরে ডুবে বা কাঁদা মেখে তাপমাত্রা কমায় শরীরর। কখনো জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় জল না পেলে লোকালয়ে হানা দেয়। তবে এবারের গরমে যে হাস্তিকুলও বিপাকে তা তাদের কাজ কর্মেই প্রমানিত।