নিজেস্বসংবাদদাতা, মালদা-১৮ নভেম্বর:
অসুস্থ গৃহবধূ খাটে শুয়ে, আর সেই খাট বাঁশ আর দঁড়ি দিয়ে পালকির মতো বেঁধে বেহাল রাস্তা দিয়ে হেঁটে নিয়ে যাচ্ছেন অসুস্থ গৃহবধুর পরিবারের লোকেরা । যদিও শেষ পথে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর । শনিবার সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ভাইরাল ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদায়। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত বামনগোলা ব্লকের গোবিন্দপুর মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালডাঙ্গা গ্রামে। আর এমন মধ্যযুগীয় বর্বরতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গ্রামের এই কাঁচামাটির রাস্তায় কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না । তাই ওই গৃহবধুর পরিবারের লোকেরা এই ভাবেই খাটের মাচা তৈরি করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন । কিন্তু শেষ পথে আর ওই গৃহবধূকে বাঁচানো যায়নি।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম মামনি রায় (২০)। দুই বছর আগে এলাকার বাসিন্দা কার্তিক রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মামনির। সম্প্রতি তিনি জ্বরে ভুগছিলেন বলে খবর। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় করেন। খাটিয়াতে শুইয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বাঁচানো যায় নি মামনিকে। বাড়িতে তাঁর ২ বছরের এক সন্তানও রয়েছে। রাস্তা খারাপে জন্য প্রাণ হারালো ২০ বছর বয়সী মামনি রায়।মৃত গৃহবধূর আত্মীয়দের বক্তব্য, বেশ কিছুদিন ধরেই মামনি জোরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মালডাঙ্গা গ্রাম থেকে বামন গোলা ব্লকের মোদিপুকুর গ্রামীন হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ৩ কিলোমিটার।