এখানে মা নিরামিষাশী

 অরণ্য,ঝাড়গ্রাম-১১ নভেম্বর:

কালি পুজা মানেই বলি। কিন্তু এখানে মা নিরামিষাশী। সুবর্ণরেখা নদী তীরে গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের কুঠিঘাট কালী মন্দিরে মায়ের দর্শন ও পুজো দিতে পাশ্ববর্তী রাজ্য থেকেও লোক ভিড় করে। ইংরেজ আমলের ঐতিহাসিক স্থান কুঠিঘাট কালী মন্দির সুবর্ণরেখা নদীর তীরে অবস্থিত। শতবর্ষ এই মন্দিরে মায়ের নিত্য পুজো যেমন হয় তেমন কালী পুজোর দিন অগনিত ভক্ত সকাল থেকে পুজো দিতে আসেন। সর্বত্র তান্ত্রিক রীতি মেনে মা কালীর পুজো হলেও কুঠিঘাট কালী মন্দিরে মায়ের পুজো হয় বৈষ্ণব রীতি মেনে।মায়ের পুজোতে নেই কোন বলি প্রথা।তবে ভক্তদের বিশ্বাস মতো কুঠিঘাট কালী মন্দিরের মা খুব জাগ্রত।তাই জঙ্গলমহলের বেশ কয়েকটি ব্লকের মানুষ যেমন পুজো দিতে আসেন তেমন বছরভর পার্শ্ববর্তী রাজ্য উড়িষ্যা ও ঝাড়খন্ডের ভক্তরা পুজো দিতে আসেন।মায়ের পুজো দেওয়ার পাশাপাশি ভক্তদের বাড়তি পাওনা মিলে যায় মন্দিরের ব্যালকনি থেকে সুবর্ণরেখা নদী ও পাশে ইংরেজ আমলের ঐতিহাসিক নীলকুঠি দেখার সুযোগ।অবশ্য শীতের দিনে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে চুটিয়ে পিকনিক করতে আসে বহু মানুষ। ডিসেম্বর জানুয়ারি মাসে প্রচুর মানুষ কুঠিঘাটে সুবর্ণরেখা নদী তীরে পিকনিক করেন।

রাত পোহালেই যখন বাঙ্গালী মাতবে শক্তির আরাধনায় তখন কুঠিঘাট কালী মন্দিরেও চলছে পুজোর জোর প্রস্তুতি।ভিড় এড়াতে শনিবার আগের দিন থেকে ভক্তরা পুজো দিতে মন্দিরে আসতে শুরু করেছেন। জানা গিয়েছে শতবর্ষ প্রাচীন এই মন্দিরের পুজোতে রয়েছে কিছু ভিন্ন রীতি।বলি প্রথা যেমন নেই তেমন কালী পুজোর দিন মায়ের পুজোতে নিবেদন করা হয় ১০৮ রকমের প্রসাদ। সমস্ত পুজো মন্ডপে রাতের বেলা পুজো হলেও এখানে সকাল থেকে সারারাত পুজো দিতে পারেন ভক্তরা। তবে এরকম একটি ঐতিহাসিক স্থান এবং প্রাচীন মন্দিরকে ঘিরে যখন ভক্তদের আবেগ জড়িত সেখানে সরকারি নিস্পৃহতায় কিছুটা হতাশ ভক্ত থেকে মন্দিরের পুরোহিত।সবার আক্ষেপ পাশাপাশি বহু মন্দিরের সংস্কার ও উন্নতিতে সরকারি সাহায্য এলেও কুঠিঘাট কালী মন্দিরে আসেনা কোন সরকারি সাহায্য।তাই আগামী দিনে মন্দিরের শ্রী বৃদ্ধিতে সরকার উদ্যোগ নিক এটাই আশা এলাকাবাসীর।

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.